গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে : রিজভী

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে : রিজভী

দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসার পথে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আমরা আজও গণতন্ত্র-হারা। আমরা আজও অধিকার-হারা। ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছে।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আজকে কেন এই দাবি করতে হচ্ছে? উল্লেখ করে রিজভী বলেন, কারণ, যেভাবে হানাদার শক্তি আমাদের ভাষার অধিকারকে আত্মসাৎ করেছিল, হরণ করেছিল। ঠিক একইভাবে দেশীয় হানাদার শক্তি জনগণের ভোটাধিকার, জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রত্যেকটা অধিকার হরণ করে তারা একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে।

পরে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। ৫২ সালে এদেশের জনগোষ্ঠীর ভাষা ছিল বাংলা, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল উর্দু। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতা অনেক রক্ত ঝড়িয়ে আমরা একাত্তরের স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু আজকে আমরা কী পেয়েছি। আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারি না।

তিনি বলেন, আমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য আজকে রাষ্ট্রশক্তি আক্রমণ চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ৬/৭ বছর বন্দি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সব অধিকারকে আজ বন্দি করে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রেরণা দেয় একুশ। একুশের চেতনা আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে। এই যে জুলুম, এই যে নিপীড়ন, ২৫ হাজার নেতাকর্মীদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা, বন্দি করে রাখা, তারপরও আজকে তারা বেরিয়ে এসে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে নতুন সংগ্রামের। নতুন আন্দোলনের, গণতন্ত্র ফেরাতেই হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে চাই। সোচ্চার কণ্ঠে কথা বলতে চাই। নির্বিঘ্নে কথা বলতে চাই। সে অধিকারের মূল প্রেরণা ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন। আমরা সেই পথ ধরে এগিয়ে যাব।

আপনি আরও পড়তে পারেন